কেমন আছে শহর বর্ধমান ?...(আট)
শহরের হৃদয়ের তত্বতালাশ
দুদিক দিয়ে এই শহরের ‘হৃদয়ের’ খোঁজ নেওয়া যেতে পারে। যদি কেউ বাইরে থেকে অতিথি হিসাবে আসেন তাঁকে বলি রেল ইস্টিশান থেকে বেরিয়ে ডানদিক না গিয়ে বা সোজা না গিয়ে জিটি রোড বরাবর কলকাতার দিকে দক্ষিণ্মুখো হাঁটতে থাকুন। ঘোড়ার গাড়ি এখন রূপকথার বইএর পাতায় তাই একটা টোটো ধরুন। নেমে পড়ুুন বিজয় তোরণের সামনে। ইচ্ছে হলে কার্জন গেটও বলতে পারেন। হ্যাঁ , ঠিকই ধরেছেন ১৯০৫এ লর্ড কার্জন বর্ধমানে এসেছিলেন। তাঁর সম্মানেই এই তোরণ ইন্ডিয়া গেটের আদলে নির্মিত । এসে তো ছিলেন আরো অনেকে। নেতাজী সুভাষ , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তারও আগে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি অবশ্য কলকাতা থেকে বজরায় এসেছিলেন। সদরঘাটে নেমেছিলেন। দামোদর তখন নাব্য ছিল। মহতাব চাঁদ তখন মহারাজ। রাজবাড়ির ভিতরে আদি ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিদ্যাসাগরের আসার কথা শোনা যায় । নানা আখ্যানে লেখাও আছে এ সংবাদ। পারকার রোডের একটি বাড়িতে তিনি উঠতেন বিশ্রাম নিয়ে স্বাস্থ উদ্ধারের জন্য। আশ্চর্য না? এই শহরে কেউ আসতেন স্বাস্থ উদ্ধারের জন্য? তাও বিদ্যাসাগরের মত ব্যক্তিত্ব? না, এঁদের স্মরণে কোনো তোরণ নির্মাণের কথা ভাবেন নি ‘রাজ’ পরিবারের লোকেরা।
না, আমি আবার এলমেলো হয়ে যাচ্ছি । মূল কথায় আসা যাক। বিজয় তোরণ থেকে সোজা পশ্চিম মুখো হেঁটে চলুন। আমাদের গন্তব্য রাজবাড়ি। উল্টো দিক থেকে চলা শুরু করলে আমি বলতাম রাজবাড়ি উত্তরফটক থেকে চলুন বিজয় তোরণ। বড়বাজার পর্যন্ত সোজা এসে সামান্য ডানদিকে কেন রাস্তা বেঁকে গেল আমি বলতে পারব না। সর্বমঙ্গলা মন্দির ও মহাজন্টুলি চৌমাথার মোড়ে একটু দাঁড়াবো আমরা। বাঁ দিকে শহরের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর মন্দিরের রাস্তা চলে গেল উইলবাড়ির গা ঘেঁসে। ডানদিকে মহাজন টুলির ভিতর দিয়ে নারকেল বাগানের পাশ দিয়ে হাস্পাতালের পাশ দিয়ে ফ্রেজার এভিন্যু হয়ে সোজা সুভাষ পল্লী। একথা আগে বলেছি। এবার আমরা বিবি ঘোষ রোডের মুখে এসে থেমে খোশবাগানের রাস্তা ধরব। বিসি রোড চলে যাক বিজয় তোরণ পর্যন্ত। আমরা বিবি ঘোষ ধরে এগিয়ে গিয়ে বিসি রোডকে ধরে ফেলব বর্ধমান সদর থানাকে ডান হাতে রেখে। একটু এগিয়ে গিয়ে ডন সটুডিও। এই গলির মুখে উঁকি মারলে একটা বড় দিঘী দেখা যাবে। এর নাম গোপাল সায়র। অনেকগুলি নারসিং হোমের নর্দমার জঞ্জাল ও মেডিক্যাল ওয়েস্ট এখানে বে-আইনী ভাবে ফেলা হয়। এবার চলুন খোশবাগানের ভিতর দিয়ে। এত ঘিঞ্জি অঞ্চল এই শহরে কমই আছে। একসময় গিনেস বুক অফ রেকর্ডস খুঁজে দেখা যেত এত কম যায়গায় এত বেশি সংখ্যক ডাক্তারের চেম্বার লন্ডনের হারলে স্ট্রীট ছাড়া আর কোথাও নেই। এত অস্বাস্থ্যকর যায়গায় ডাক্তারবাবুদের চিকিৎসা কেন্দ্র কেন গড়ে উঠেছে তার প্রধান কারণ হাসপাতাল এই অঞ্চলেই অবস্থিত। জেলার সবথেকে বড় হাসপাতাল এখন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল । খুব স্বাভাবিক কারণেই ডাক্তারবাবুরা এখানে ভীড় করেছেন। হাসপাতাল উপচে রুগির ঢল খোশবাগানের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতেই নিরাময় ও উপশম খুঁজে ফেরেন। অসংখ্য নারসিং হোম, রক্ত ইত্যাদি পরীক্ষা কেন্দ্র খাবারের দোকান এই অঞ্চল্টাকে ঘিঞ্জিতে পরিণত করে তুলেছে। আমি এতসব কথা বলছিই বা কেন? একটাই কারণ। এই অঞ্চলে প্রতিদিন কয়েক টন মেডিক্যাল ওয়েস্ট বা ডাক্তারী আবর্জনা তৈরি হয়। সেগুলির ডিস্পোজাল বা শুদ্ধিকরণ কিভাবে হয়? বর্ধমানের অধিকাংশ ডাক্তারবাবু গরীব এমন দুর্নাম কেউ দিতে পারবেন না। কিভাবে পরিষ্কার হয় এই ‘এত্তা জঞ্জাল”? গোপাল সায়র ব্যক্তিগত বা পারিবারিক জলাশয়। আমি এবার একটু অন্য দিকে খোঁজ নিতে বলব আপনাদের। এজন্য আমরা পাকমারা গলি দিয়ে সি এম এস স্কুলের পাশ দিয়ে বিসি রোডে উঠব। চলুন সোজা পুরোনা রূপমহল সিনেমার গলিতে। আগে যেখানে সাইকেল রাখার স্ট্যান্ড ছিল তার বাঁ পাশ দিয়ে বর্ধমান সিনেমা হলের উত্তর সীমানার গা ঘেঁষে দেখবেন একটা কচুরি পানায় ভরা আয়তাকার জলাশয় আছে। এখানে বাঁধ দিয়ে একটা সরু পথ বানানো হয়েছে। পাঁচিলের মত। ওই পাঁচিলে উঠে যদি সোজা চোখ মেলে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন থানার পিছন পর্যন্ত এই জলাশয় একদা বিস্তৃত ছিল। এখন মাঝে মাঝে সে জলাশয় উধাও। বাড়িঘর মাথা তুলেছে সগৌরবে । আশপাশের বাড়ির নিকাশি জল এখন কোথায় ফেলা হবে?
এবার চলুন বিজয় তোরণে যাই। মিদ্দে পুকুর মনে আছে? এখন যেখানে বৈদ্যনাথ কাটরা ও দেবযানী সুপার মার্কেট তার ভিতর দিয়ে গেলে অনিতা সিনেমা হলের পিছিনে কিছু প্রত্নতাত্বিক অবশেষ খুঁজে পাবেন। এক ঘন্টার বৃষ্টিতে বিজয় তোরণের সামনে জল জমবে এটা খুব অস্বাভাবিক মনে হবে না এখন। এবার চলুন ট্রাফিক সিগনাল খেয়াল করে কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করি। বাঁ দিকে বর্ধমানের গর্ব সংস্কৃতি লোকমঞ্চ। বাম্ফ্রন্ট আমলে হকারস মার্কেটের জন্য নির্দিষ্ট এই এলাকায় বহুটাকা ব্যয়ে এই মঞ্চটি তৈরি করা হয় । আর একটু এগিয়ে চলুন অরবিন্দ ভবনের কাছে। একটা ছোট সেতু পেরোতে হবে। আমরা তার পাশ দিয়ে ডানদিকে যাই চলুন। ডানহাতে কোর্ট বিল্ডিংস। সামনে তাকালে টাউন স্কুল নজরে পড়বে। বাঁদিকে দেখুন একটি খালের মত জলাশয়। এর একটা মুখ চলে গেছে উত্তরে বাদামতলা পেরিয়ে খালবিল মাঠের দিকে। সে মুখ এখন আর খুঁজে পাবেন না। ডানদিকে খানিক দূর গিয়ে আর একটা মুখ চলে গেছে কালিবাজারের দিকে। এখন সে মুখটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। পিসি সরকার জুনিয়রের ম্যাজিকের মত সব হাওয়ায় মিলিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে। বাড়তি জল যাবে কোথায়? ফলে এই শহরে ওয়াটার লগিং অনিবার্য ।
#
না, আমি আবার এলমেলো হয়ে যাচ্ছি । মূল কথায় আসা যাক। বিজয় তোরণ থেকে সোজা পশ্চিম মুখো হেঁটে চলুন। আমাদের গন্তব্য রাজবাড়ি। উল্টো দিক থেকে চলা শুরু করলে আমি বলতাম রাজবাড়ি উত্তরফটক থেকে চলুন বিজয় তোরণ। বড়বাজার পর্যন্ত সোজা এসে সামান্য ডানদিকে কেন রাস্তা বেঁকে গেল আমি বলতে পারব না। সর্বমঙ্গলা মন্দির ও মহাজন্টুলি চৌমাথার মোড়ে একটু দাঁড়াবো আমরা। বাঁ দিকে শহরের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর মন্দিরের রাস্তা চলে গেল উইলবাড়ির গা ঘেঁসে। ডানদিকে মহাজন টুলির ভিতর দিয়ে নারকেল বাগানের পাশ দিয়ে হাস্পাতালের পাশ দিয়ে ফ্রেজার এভিন্যু হয়ে সোজা সুভাষ পল্লী। একথা আগে বলেছি। এবার আমরা বিবি ঘোষ রোডের মুখে এসে থেমে খোশবাগানের রাস্তা ধরব। বিসি রোড চলে যাক বিজয় তোরণ পর্যন্ত। আমরা বিবি ঘোষ ধরে এগিয়ে গিয়ে বিসি রোডকে ধরে ফেলব বর্ধমান সদর থানাকে ডান হাতে রেখে। একটু এগিয়ে গিয়ে ডন সটুডিও। এই গলির মুখে উঁকি মারলে একটা বড় দিঘী দেখা যাবে। এর নাম গোপাল সায়র। অনেকগুলি নারসিং হোমের নর্দমার জঞ্জাল ও মেডিক্যাল ওয়েস্ট এখানে বে-আইনী ভাবে ফেলা হয়। এবার চলুন খোশবাগানের ভিতর দিয়ে। এত ঘিঞ্জি অঞ্চল এই শহরে কমই আছে। একসময় গিনেস বুক অফ রেকর্ডস খুঁজে দেখা যেত এত কম যায়গায় এত বেশি সংখ্যক ডাক্তারের চেম্বার লন্ডনের হারলে স্ট্রীট ছাড়া আর কোথাও নেই। এত অস্বাস্থ্যকর যায়গায় ডাক্তারবাবুদের চিকিৎসা কেন্দ্র কেন গড়ে উঠেছে তার প্রধান কারণ হাসপাতাল এই অঞ্চলেই অবস্থিত। জেলার সবথেকে বড় হাসপাতাল এখন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল । খুব স্বাভাবিক কারণেই ডাক্তারবাবুরা এখানে ভীড় করেছেন। হাসপাতাল উপচে রুগির ঢল খোশবাগানের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতেই নিরাময় ও উপশম খুঁজে ফেরেন। অসংখ্য নারসিং হোম, রক্ত ইত্যাদি পরীক্ষা কেন্দ্র খাবারের দোকান এই অঞ্চল্টাকে ঘিঞ্জিতে পরিণত করে তুলেছে। আমি এতসব কথা বলছিই বা কেন? একটাই কারণ। এই অঞ্চলে প্রতিদিন কয়েক টন মেডিক্যাল ওয়েস্ট বা ডাক্তারী আবর্জনা তৈরি হয়। সেগুলির ডিস্পোজাল বা শুদ্ধিকরণ কিভাবে হয়? বর্ধমানের অধিকাংশ ডাক্তারবাবু গরীব এমন দুর্নাম কেউ দিতে পারবেন না। কিভাবে পরিষ্কার হয় এই ‘এত্তা জঞ্জাল”? গোপাল সায়র ব্যক্তিগত বা পারিবারিক জলাশয়। আমি এবার একটু অন্য দিকে খোঁজ নিতে বলব আপনাদের। এজন্য আমরা পাকমারা গলি দিয়ে সি এম এস স্কুলের পাশ দিয়ে বিসি রোডে উঠব। চলুন সোজা পুরোনা রূপমহল সিনেমার গলিতে। আগে যেখানে সাইকেল রাখার স্ট্যান্ড ছিল তার বাঁ পাশ দিয়ে বর্ধমান সিনেমা হলের উত্তর সীমানার গা ঘেঁষে দেখবেন একটা কচুরি পানায় ভরা আয়তাকার জলাশয় আছে। এখানে বাঁধ দিয়ে একটা সরু পথ বানানো হয়েছে। পাঁচিলের মত। ওই পাঁচিলে উঠে যদি সোজা চোখ মেলে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন থানার পিছন পর্যন্ত এই জলাশয় একদা বিস্তৃত ছিল। এখন মাঝে মাঝে সে জলাশয় উধাও। বাড়িঘর মাথা তুলেছে সগৌরবে । আশপাশের বাড়ির নিকাশি জল এখন কোথায় ফেলা হবে?
এবার চলুন বিজয় তোরণে যাই। মিদ্দে পুকুর মনে আছে? এখন যেখানে বৈদ্যনাথ কাটরা ও দেবযানী সুপার মার্কেট তার ভিতর দিয়ে গেলে অনিতা সিনেমা হলের পিছিনে কিছু প্রত্নতাত্বিক অবশেষ খুঁজে পাবেন। এক ঘন্টার বৃষ্টিতে বিজয় তোরণের সামনে জল জমবে এটা খুব অস্বাভাবিক মনে হবে না এখন। এবার চলুন ট্রাফিক সিগনাল খেয়াল করে কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করি। বাঁ দিকে বর্ধমানের গর্ব সংস্কৃতি লোকমঞ্চ। বাম্ফ্রন্ট আমলে হকারস মার্কেটের জন্য নির্দিষ্ট এই এলাকায় বহুটাকা ব্যয়ে এই মঞ্চটি তৈরি করা হয় । আর একটু এগিয়ে চলুন অরবিন্দ ভবনের কাছে। একটা ছোট সেতু পেরোতে হবে। আমরা তার পাশ দিয়ে ডানদিকে যাই চলুন। ডানহাতে কোর্ট বিল্ডিংস। সামনে তাকালে টাউন স্কুল নজরে পড়বে। বাঁদিকে দেখুন একটি খালের মত জলাশয়। এর একটা মুখ চলে গেছে উত্তরে বাদামতলা পেরিয়ে খালবিল মাঠের দিকে। সে মুখ এখন আর খুঁজে পাবেন না। ডানদিকে খানিক দূর গিয়ে আর একটা মুখ চলে গেছে কালিবাজারের দিকে। এখন সে মুখটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। পিসি সরকার জুনিয়রের ম্যাজিকের মত সব হাওয়ায় মিলিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে। বাড়তি জল যাবে কোথায়? ফলে এই শহরে ওয়াটার লগিং অনিবার্য ।
#
চলুন আমরা আবার একবার বাবুরবাগে ঢোকার মুখে নার্স কোয়াটারসের সামনে এসে দাঁড়াই। খুব বেশিদিনের কথা নয়। নার্স কোয়াটারসের দিকে পিঠ দিয়ে দক্ষিণ দিকে তাকালে চোখে পড়বে একটি আধুনিক বহুতল ইমারত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নির্মিত প্রশাসনিক ভবন। দু বছর আগেও এটি ছিল একটি বিশাল জলাশয়। কচুরি পানা ও অন্যান্য জলজ উদ্ভিদে দখল নিয়েছিল এই জলাশয়ের। এটি ছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মালিকানাধীন। বর্ধমান রাজপরিবারের কাছ থেকে পাওয়া। যদি এই জলাশয়টি সংস্কার করে চারদিকে পাড়ে গাছ লাগিয়ে একটি সরোবরে পরিণত করা হোত তাহলে এটি হোত এই শহরের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি যারা কৃষ্ণ সায়রের বুক থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল নিরুদ্দেশে তারা ফিরে আসত । পরিবেশের ভারসাম্য ফিরে আসত অনেক খানি।
জানি অনেক তথ্য বাদ গেল। দিঘিরপুলের কথা লেখা হোল না। নানা জায়গায় সকলের চোখের সামনে কি কায়দায় পুকুর বোজানো হচ্ছে তার বিবরণ বাকি রইলো। এক্টাই উদাহরণ দেওয়া যাক । সর্বমঙ্গলা মন্দিরের পিছনে রাস্তার পাশেই একটি পুকুর কিভাবে গোঁজা ও প্লাস্টিক পলিথিন ফেলে ধীরে ধীরে বোঝানো হচ্ছে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। একেই বুঝি বলে পুকুর চুরি! প্রতিটি ওয়ার্ডেই এরকম উদাহরণ চোখে পড়বে। কে ব্যবস্থা নেবে? আমি জানি না। ( চলবে)
জানি অনেক তথ্য বাদ গেল। দিঘিরপুলের কথা লেখা হোল না। নানা জায়গায় সকলের চোখের সামনে কি কায়দায় পুকুর বোজানো হচ্ছে তার বিবরণ বাকি রইলো। এক্টাই উদাহরণ দেওয়া যাক । সর্বমঙ্গলা মন্দিরের পিছনে রাস্তার পাশেই একটি পুকুর কিভাবে গোঁজা ও প্লাস্টিক পলিথিন ফেলে ধীরে ধীরে বোঝানো হচ্ছে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। একেই বুঝি বলে পুকুর চুরি! প্রতিটি ওয়ার্ডেই এরকম উদাহরণ চোখে পড়বে। কে ব্যবস্থা নেবে? আমি জানি না। ( চলবে)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন