সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সত্যম বদ প্রিয়ম বদঃ অপ্রিয়ম সত্যম মা বদ

সত্যম বদ প্রিয়ম বদঃ অপ্রিয়ম সত্যম মা বদ ছোটো বয়সে সংস্কৃত ক্লাশে অনুবাদ করেছিলামঃ সত্যম বদ প্রিয়ম বদঃ অপ্রিয়ম সত্যম মা বদ। মনের মধ্যে খটকা এখনো লেগে আছে। সত্য সবসময় 'প্রিয়' হবে এমন কোনো মানে নেই। লোকের মন রাখতে গিয়ে মিথ্যে বা অর্ধ সত্যের চাষ করে যেতে হবে। তারপর আমরা একটা সুস্থ সমাজ চাইব!  মাঝে মাঝেই দেখি আমি হয়তো কোনো বন্ধুর পোষ্টে কিছু মন্তব্য করেছি যা সত্য কিন্তু তার মনঃপূত নয়। কিছুক্ষণ পর দেখি আমার মন্তব্য ডিলিট করে দিয়েছে। আমি হয়তো আর সেখানে কিছু মন্তব্য করব না বা তাকে আনফ্রেন্ড করব না ( তার স্তরে আমি কেন নামবো ?) কিন্ত সত্য কি ডিলিট করা যাবে? একটা তর্ক প্রায় শুনি- আমার সত্য বনা্ম তোমার সত্য। আমার হাসি পায়। সত্যের স্বরূপ তুমি- আমি -স্বাপেক্ষ নয়।

জাড্য

জাড্য বিজ্ঞানের ছাত্র নই। এজন্য অনেকে আমাকে কম-বুদ্ধিমান ভাবেন বরাবর। তার উপর কেজি ইস্কুলের প্রধান শিক্ষকতা করেছি- মানে একেবারেই পাতে দেবার যোগ্য নই। এ নিয়ে খুব একটা সমস্যা হয় না। বুদ্ধি ধার পাওয়া যায় , ফিরিতেও পাওয়া যায়। বুঝি না বললেই একসঙ্গে অনেকে বলে ওঠে -"আরে এটা এত সোজা, বোঝ না? এসো বুঝিয়ে দিচ্ছি।" এমনই একটি বিষয় -জাড্য। পাগলা। ক্লাশ টেন পর্যন্ত একটা জাবদা বিজ্ঞানের পড়তে হোত। কোর বিজ্ঞান বলা হত। ৭৫ মত পেয়েছিলাম। ওটা আমাদের HS Marksheet-এ লেখা থাকত কোনের দিকে। চিত্ত বাবু বিজ্ঞান পড়াতেন। গতি জাড্য ও স্থিতি জাড্য বুঝিয়েছিলেন। চিত্ত বাবু কবিতা লিখতেন, গল্প উপন্যাস লিখতেন, অসাধারণ বাটিকের কাজ করতেন। আমাকে খুব ভাল বাসতেন । তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সম্পর্ক ছিল স্নেহ প্রীতি ও শ্রদ্ধার। গতি জাড্য একরকম বুঝতাম। এতদিনে স্থিতিজাড্য ব্যাপারটা পরিস্কার হোল। পুজো শেষ। এবার কাজে মন ফেরাতে হবে। কিন্তু মনের স্থিতিজাড্য পেয়েছে। কাজ করতে চাইছে না। শুধু অলস শুয়ে থাকতে চাইছে। মন ঘুরে বেড়াচ্ছে এরকম কোন যায়গায় কাজের কথা ভাবতেই রাজী নয়। কি করি?

পদার্থ -অ-পদার্থ

পদার্থ -অ-পদার্থ আমার মা স্কুলে পাঠশালায় যান নি। বিদ্যাসাগর মশাইয়ের প্রথম ভাগ পড়তে পারতেন। দ্বিতীয় ভাগ অনেক কষ্টে বানান করে পড়ার চেষ্টা করতেন। আমি পেছনে লাগতাম। একবার তিনি আমাদের এক দাদাকে একটি পোষ্ট কার্ড লিখে একজনকে পোষ্ট করতে দিয়েছিলেন। ঠিকানা ছিল না। সেটি আমি হস্তগত করে পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করি। লেখা ছিল,’ বাবা কখন (খোকন), কেমন আছ।...... কিছু পরে ,’ সন্ধ্যা -টুকুনের নেই”। কি নেই?  মা, সন্ধ্যা টুকুনের কি নেই গো? সন্ধ্যা আমার এখনকার বড় বোন আর টুকুন মেজ। অনেক গবেষণা করে জানা গিয়েছিল যে মা লিখতে চেয়েছিলেন,’ সন্ধ্যা টুকুনের প্যান্ট’ নেই।“ মায়ের অপিরিসীম বিশ্বাস ছিল খোকনদার উপর। ভাবতেন খোকন ঠিক বুঝে নেবে। বলা বাহুল্য তখন আমাদের একটা লড়াই চলছে টিঁকে থাকার। শুধু প্যান্ট নয় প্রায় কিছুই নেই। কিন্তু আমাদের ঘর পূর্ণ ছিল। মা ছিল। দশভূজার থেকেও অনেক অনেক বড় কিছু। এই মা আমার প্রথম বন্ধু ছিল না। ঠাকুদ্দা ছিল আমার এক নম্বর বন্ধু। কিন্তু তারপর থেকে কিভাবে মা হয়ে উঠলেন সবকিছু। সেকথা থাক। এই মা ছাড়া সবাই , বিশেষ করে আমার স্কুলের শিক্ষকরা মনে করতেন আমি একটি অপদার্থ। বড্ড প্রশ্ন করি! দুষ্টুমি...